কি কারণে করোয়া কদম্বোগাছি স্টেশনে প্রতি বছর ট্রেনকে কিছুক্ষণের জন্য থামিয়ে ফুল দিয়ে সাজিয়ে পুজো করা হয়:
আজ সকালে বারাসাত-হাসনাবাদ লাইনে করোয়া কদম্বোগাছি স্টেশনে ইছামতি ট্রেনকে কিছুক্ষণের জন্য থামিয়ে তাকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে পুজো করা হলো।
কারণ হিসাবে জানা গেছে এখানে নাকি এই পুজো দেওয়া হয় একটি ছেলের জীবনের বিনিময়। একটি ছেলে কিছু বছর আগে এখানে এই ট্রেনে এক্সিডেন্ট করে। কিন্তু সে বেঁচে যায়।
তাই তার বাঁচিয়ে রাখার আবেদন নিয়ে এই পুজো দেওয়া হয় এবং সেই ছেলেটি যতদিন বেঁচে থাকবে এই পুজো দেওয়া হবে।
তাই প্রতিবছরের মতো এ'বছরেও ট্রেনকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে তাকে বরণ করে পুজো করা হলো।
বসিরহাট বাসীর কাছে ইছামতি নদীর নাম যেমনটি প্রিয় তার পাশাপাশি বারাসাত ও হাসনাবাদ সেকশন ইছামতি লোকাল তেমনটি খুবই প্রিয় ।
এমন কি বহু বছর আগে থেকে এই ট্রেনটির নাম ইছামতি নদীর থেকেই নামকরণ করা হয়।
1983 সালে প্রথম হাসনাবাদ থেকে শিয়ালদহ ডায়রেক্ট ট্রেন চালু হয়। তার আগে হাসনাবাদ থেকে বারাসাত পর্যন্ত চলতো। প্রথম ডায়রেক্ট হাসনাবাদ শিয়ালদহ চালু হয় 1983 সালে।
ওই ট্রেনটি 06:40 এ হাসনাবাদ থেকে ছাড়তো, এবং ফিরতি ট্রেন ডাইরেক্ট শিয়ালদহ হাসনাবাদ ট্রেনটি শিয়ালদহ থেকে 18:00 তে ছাড়তো। ওই ট্রেনের নামকরণ হয় বসিরহাট তথা হাসনাবাদের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিখ্যাত ইছামতী নদীর নামে।
তখন অবশ্য ডিজেল ইঞ্জিন চালিত Conventional ICF রেক দিয়ে ট্রেন চলতো। এরপর কালক্রমে হাসনাবাদ শাখায় পরবর্তীতে EMU ট্রেন চালু হলে,
ওই সময়তে (down টা 6:46 এ হাসনাবাদ থেকে ছাড়ে, Up টা 18:00 তে শিয়ালদহ থেকে ছাড়ে) একটা ট্রেন দেওয়া হয়, যেটা সেই 1983 সালের ট্রেনটির স্মরণার্থে ইছামতী লোকাল নামই থেকে যায়।
আমরা আমাদের মাতৃভূমির সবকিছুর মধ্যেই ভগবানকে খুঁজে পাই এবং তাকে ভগবান রূপে পূজা করি। হ্যাঁ এগুলোই আমাদের সংস্কৃতি।
ট্রেনে পাথর ছোড়া, ভাঙচুর করা, আগুন লাগানো এগুলো নয়।